শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

শনিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৭

গান-বাজনা শ্রবণ নিষিদ্ধ !

গান-বাজনা শ্রবণ নিষিদ্ধ !

চোখের দৃষ্টি যেমন মানুষকে বিপরীত লিঙ্গের দিকে আকৃষ্ট করে, তেমনি করে গানের সুর। মধুর কণ্ঠস্বর মানুষকে মোহাবিষ্ট করে; ফলে ন্যয়- অন্যায় ও ভাল মন্দের পার্থক্যবোধ সে হারিয়ে ফেলে। এই কারণে ইসলামে গান বাজনার কোন স্থান নেই। বিশেষ করে সুন্দরী যুবতীর সুমিষ্ট কণ্ঠের গান পুরুষদের জন্যে এবং অনুরূপ পুরুষ কণ্ঠের গান মেয়েদের জন্য খুবই মারাত্মক হয়ে দেখা দেয়। বস্তুতঃ গান বাজনা যে মানুষের মধ্যে যৌন উত্তেজনার সৃষ্টি করে, অনস্বীকার্য। এই কারণে বিশেষজ্ঞগণ বলেছেনঃ

শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৭

প্রশ্নঃ গণতন্ত্রের নির্বাচন পদ্ধতিতে অংশ গ্রহণ করা যাবে কি ?

প্রশ্নঃ গণতন্ত্রের নির্বাচন পদ্ধতিতে অংশ গ্রহণ করা যাবে কি ?

উত্তরঃ যে ব্যক্তি এ পদ্ধতির অধীনে নিজেকে কিংবা অন্য কাউকে এ জন্য নির্বাচিত করে যাতে করে এ আইনসভাতে ঢুকে এর বিরোধিতা করা যায়, এ পদ্ধতির বিপক্ষে দলিল প্রমাণ উপস্থাপন করা যায়, সাধ্যানুযায়ী অকল্যাণ ও দুর্নীতি রোধ করা যায় এবং যেন গোটা ময়দান দুর্নীতিবাজ ও নাস্তিকদের হাতে চলে না যায়, যারা জমিনে দুর্নীতি ছড়িয়ে দেয়, মানুষের দ্বীন ও দুনিয়ার সমূহ কল্যাণ নস্যাৎ করে দেয়— তবে এ ক্ষেত্রে সম্ভাব্য কল্যাণের দিক বিবেচনা করে ইজতিহাদ করার তথা বিবেক-বিবেচনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ রয়েছে।
বরং কোন কোন আলেম মনে করেন, এ ধরনের নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করা ফরজ।

প্রশ্নঃ নির্বাচনে কাউকে মনোনয়ন দেয়া ও ভোট দেয়া জায়েয আছে কি? উল্লেখ্য, আমাদের দেশের শাসনব্যবস্থা আল্লাহর নাযিলকৃত আইনে নয় ?

প্রশ্নঃ নির্বাচনে কাউকে মনোনয়ন দেয়া ও ভোট দেয়া জায়েয আছে কি? উল্লেখ্য, আমাদের দেশের শাসনব্যবস্থা আল্লাহর নাযিলকৃত আইনে নয় ?
উত্তরঃ যে সরকার আল্লাহর নাযিলকৃত আইন দিয়ে শাসন করে না, শরিয়া আইন অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা করে না কোন মুসলমানের জন্য সে সরকারে যোগ দেয়ার প্রত্যাশায় নিজেকে মনোনীত করা জায়েয নয়। তাই এ সরকারের সাথে কাজ করার জন্য কোন মুসলমানের নিজেকে কিংবা অন্য কাউকে নির্বাচিত করা জায়েয নেই। তবে কোন মুসলমান যদি এ উদ্দেশ্য নিয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হয় কিংবা অন্যকে নির্বাচিত করে যে, এর মাধ্যমে এ শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন করে ইসলামী শরিয়াভিত্তিক শাসনব্যবস্থা কায়েম করবে, নির্বাচনে অংশ গ্রহণকে তারা বর্তমান শাসনব্যবস্থার উপর আধিপত্যবিস্তার করার মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করে তাহলে সেটা জায়েয। তবে, সে ক্ষেত্রেও যে ব্যক্তি প্রার্থী হবেন তিনি এমন কোন পদ গ্রহণ করতে পারবেন না যা ইসলামী শরিয়ার সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক।
শাইখ আব্দুল আযিয বিন বায, শাইখ আব্দুর রাজ্জাক আফিফি, শাইখ আব্দুল্লাহ গুদইয়ান, শাইখ আব্দুল্লাহ কুয়ুদ। [স্থায়ী কমিটির ফতোয়াসমগ্র থেকে সংকলিত (২৩/৪০৬, ৪০৭]