১)
ذٰلِكَ الۡڪِتٰبُ لَا رَيۡبَۖ ۚۛ
فِيۡهِۚۛ هُدًى لِّلۡمُتَّقِيۡنَ ۙ الَّذِيۡنَ يُؤۡمِنُوۡنَ
بِالۡغَيۡبِ وَيُقِيۡمُوۡنَ الصَّلٰوةَ وَمِمَّا رَزَقۡنٰهُمۡ يُنۡفِقُوۡنَ
وَالَّذِيۡنَ يُؤۡمِنُوۡنَ بِمَآ اُنۡزِلَ اِلَيۡكَ وَمَآ اُنۡزِلَ
مِنۡ قَبۡلِكَ وَبِالۡاٰخِرَةِ هُمۡ يُوۡقِنُوۡنَ
এটি আল্লাহর
কিতাব, এর মধ্যে কোন সন্দেহ নেই। এটি হিদায়াত সেই ‘মুত্তাকী’দের জন্য যারা
অদৃশ্যে বিশ্বাস করে, নামায কায়েম করে এবং যে রিযিক আমি তাদেরকে দিয়েছি তা
থেকে খরচ করে। আর যে কিতাব তোমাদের ওপর নাযিল করা হয়েছে (অর্থাৎ কুরআন) এবং
তোমার আগে যেসব কিতাব নাযিল করা হয়েছিল সে সবগুলোর ওপর ঈমান আনে আর
আখেরাতের ওপর একীন রাখে। {আল বাকারাহঃ ২-৪}
২)
لَاۤ اِكۡرَاهَ فِىۡ الدِّيۡنِۙ قَد
تَّبَيَّنَ الرُّشۡدُ مِنَ الۡغَىِّۚ فَمَنۡ يَّكۡفُرۡ بِالطَّاغُوۡتِ
وَيُؤۡمِنۡۢ بِاللّٰهِ فَقَدِ اسۡتَمۡسَكَ بِالۡعُرۡوَةِ الۡوُثۡقٰى لَا
انفِصَامَ لَهَاۚ وَاللّٰهُ سَمِيۡعٌ عَلِيۡمٌ
দ্বীনের
ব্যাপারে কোন জোর-জবরদস্তি নেই। ভ্রান্ত মত ও পথ থেকে সঠিক মত ও পথকে
ছাঁটাই করে আলাদা করে দেয়া হয়েছে। এখন যে কেউ তাগুতকে অস্বীকার করে আল্লাহর
ওপর ঈমান আনে, সে এমন একটি মজবুত অবলম্বন আঁকড়ে ধরে, যা কখনো ছিন্ন হয় না।
আর আল্লাহ (যাকে সে অবলম্বন হিসেবে আঁকড়ে ধরেছে) সবকিছু শোনেন ও জানেন।
{আল বাকারাহঃ ২৫৬ }
৩)
اِنَّ الَّذِيۡنَ اٰمَنُوۡا وَالَّذِيۡنَ
هَادُوۡا وَالنَّصَارٰى وَالصّٰبِـِٕيۡنَ مَنۡ اٰمَنَ بِاللّٰهِ
وَالۡيَوۡمِ الۡاٰخِرِ وَعَمِلَ صٰلِحًا فَلَهُمۡ اَجۡرُهُمۡ عِنۡدَ
رَبِّهِمۡ وَلَا خَوۡفٌ عَلَيۡهِمۡ وَلَا هُمۡ يَحۡزَنُوۡنَ
নিশ্চিতভাবে
জেনে রেখো, যারা শেষ নবীর প্রতি ঈমান আনে কিংবা ইহুদি, খৃষ্টান বা সাবি
তাদের মধ্য থেকে যে ব্যক্তিই আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান আনবে এবং
সৎকাজ করবে তার প্রতিদান রয়েছে তাদের রবের কাছে এবং তাদের জন্য কোন ভয় ও
মর্মবেদনার অবকাশ নেই। {আল বাকারাহঃ ৬২ }
৪)
مَّا كَانَ اللّٰهُ لِيَذَرَ
الۡمُؤۡمِنِيۡنَ عَلٰى مَاۤ اَنۡتُمۡ عَلَيۡهِ حَتّٰى يَمِيۡزَ الۡخَبِيۡثَ
مِنَ الطَّيِّبِؕ وَمَا كَانَ اللّٰهُ لِيُطۡلِعَكُمۡ عَلَى الۡغَيۡبِ
وَلٰكِنَّ اللّٰهَ يَجۡتَبِىۡ مِنۡ رُّسُلِهٖ مَنۡ يَّشَآءُ فَاٰمِنُوۡا
بِاللّٰهِ وَرُسُلِهٖۚ وَاِنۡ تُؤۡمِنُوۡا وَتَتَّقُوۡا فَلَكُمۡ اَجۡرٌ
عَظِيۡمٌ
তোমরা বর্তমানে যে অবস্থায় আছো আল্লাহ মুমিনদের কখনো
সেই অবস্থায় থাকতে দেবেন না। পাক–পবিত্র লোকেদেরকে তিনি নাপাক ও অপবিত্র
লোকদের থেকে আলাদা করেই ছাড়বেন। কিন্তু তোমাদেরকে গায়েবের খবর জানিয়ে দেয়া
আল্লাহর রীতি নয়। গায়েবের খবর জানাবার জন্য তিনি নিজের রসূলদের মধ্য থেকে
যাকে চান বাছাই করে নেন। কাজেই (গায়েবের ব্যাপারে) আল্লাহ ও তাঁর রসূলের
ওপর ঈমান রাখো। যদি তোমরা ঈমান ও আল্লাহকে ভয় করার নীতি অবলম্বন করো তাহলে
বিরাট প্রতিদান পাবে। {আলে ইমরানঃ ১৭৯ }
৫)
اٰمَنَ الرَّسُوۡلُ بِمَاۤ اُنۡزِلَ
اِلَيۡهِ مِنۡ رَّبِّهٖ وَالۡمُؤۡمِنُوۡنَؕ كُلٌّ اٰمَنَ بِاللّٰهِ
وَمَلٰٓٮِٕكَتِهٖ وَكُتُبِه وَرُسُلِهٖ لَا نُفَرِّقُ بَيۡنَ اَحَدٍ
مِّنۡ رُّسُلِهٖ وَقَالُوۡا سَمِعۡنَا وَاَطَعۡنَا غُفۡرَانَكَ رَبَّنَا
وَاِلَيۡكَ الۡمَصِيۡرُ
রসূল তার রবের পক্ষ থেকে তার ওপর যে
হিদায়াত নাযিল হয়েছে তার প্রতি ঈমান এনেছে। আর যেসব লোক ঐ রসূলের প্রতি
ঈমান এনেছে তারাও ঐ হিদায়াতকে মনে-প্রাণে স্বীকার করে নিয়েছে। তারা সবাই
আল্লাহকে, তাঁর ফেরেশতাদেরকে, তাঁর কিতাবসমূহকে ও তাঁর রসূলদেরকে মানে এবং
তাদের বক্তব্য হচ্ছেঃ “আমরা আল্লাহর রসূলদের একজনকে আর একজন থেকে আলাদা
করি না। আমরা নির্দেশ শুনেছি ও অনুগত হয়েছি। হে প্রভু! আমরা তোমার কাছে
গোনাহ মাফের জন্য প্রার্থনা করছি। আমাদের তোমারই দিকে ফিরে যেতে হবে। {আল
বাকারাহঃ ২৮৫ }
৬)
فَاٰمِنُوۡا بِاللّٰهِ وَرَسُوۡلِهٖ وَالنُّوۡرِ الَّذِىۡۤ اَنۡزَلۡنَاؕ وَاللّٰهُ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ خَبِيۡرٌ
তাই
ঈমান আনো আল্লাহ, তাঁর রসূল এবং সেই ‘নূর’ বা আলোর প্রতি যা আমি নাযিল
করেছি। আর তোমরা যা কিছু করছো আল্লাহ সে সম্পর্কে পূর্ণরূপে অবহিত। {আত
তাগাবুনঃ ৮ }
৭)
اِنَّ الَّذِيۡنَ لَا يُؤۡمِنُوۡنَ بِالۡاٰخِرَةِ زَيَّنَّا لَهُمۡ اَعۡمَالَهُمۡ فَهُمۡ يَعۡمَهُوۡنَؕ
আসলে
যারা আখেরাত বিশ্বাস করে না তাদের জন্য আমি তাদের কৃতকর্মকে সুদৃশ্য করে
দিয়েছি, ফলে তারা দিশেহারা হয়ে ঘুরে বেড়ায়। {আন নামলঃ ৪ }
৮)
قُلۡ اٰمَنَّا بِاللّٰهِ وَمَاۤ اُنۡزِلَ
عَلَيۡنَا وَمَاۤ اُنۡزِلَ عَلٰٓى اِبۡرٰهِيۡمَ وَاِسۡمٰعِيۡلَ وَاِسۡحٰقَ
وَيَعۡقُوۡبَ وَالۡاَسۡبَاطِ وَمَاۤ اُوۡتِىَ مُوۡسَىٰ وَعِيۡسٰى
وَالنَّبِيُّوۡنَ مِنۡ رَّبِّهِمۡ لَا نُفَرِّقُ بَيۡنَ اَحَدٍ مِّنۡهُمۡ
وَنَحۡنُ لَهٗ مُسۡلِمُوۡنَ
হে নবী! বলোঃ “আমরা আল্লাহকে মানি,
আমাদের ওপর অবতীর্ণ শিক্ষাকে মানি, ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকূব ও
ইয়াকূব সন্তানদের ওপর অবতীর্ণ শিক্ষাকেও মানি এবং মূসা, ঈসা ও অন্যান্য
নবীদেরকে তাদের রবের পক্ষ থেকে যে হিদায়াত দান করা হয় তার উপরও ঈমান রাখি।
আমরা তাদের মধ্যে পার্থক্য করি না এবং আল্লাহর হুকুমের অনুগত (মুসলিম)।”
{আলে ইমরানঃ ৮৪ }
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন