১)
قُلۡ هُوَ اللّٰهُ اَحَدٌ اللّٰهُ الصَّمَدُ لَمۡ يَلِدۡ
ۙ وَلَمۡ يُوۡلَدۡۙ وَلَمۡ يَكُنۡ لَّهٗ كُفُوًا اَحَدٌ
ۙ وَلَمۡ يُوۡلَدۡۙ وَلَمۡ يَكُنۡ لَّهٗ كُفُوًا اَحَدٌ
বলো,
তিনি আল্লাহ, একক। আল্লাহ কারোর ওপর নির্ভরশীল নন এবং সবাই তাঁর ওপর
নির্ভরশীল। তাঁর কোন সন্তান নেই এবং তিনি কারোর সন্তান নন। এবং তাঁর
সমতুল্য কেউ নেই। {আল ইখলাসঃ ১-৪}
২)
وَاِلٰهُكُمۡ اِلٰهٌ وَّاحِدٌۚ لَآ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الرَّحۡمٰنُ الرَّحِيۡمُ
তোমাদের আল্লাহ এক ও একক। সেই দয়াবান ও করুণাময় আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ্ নেই। {আল বাকারাহঃ ১৬৩ }
اللّٰهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الۡحَىُّ
الۡقَيُّوۡمُ ۚلَا تَاۡخُذُهٗ سِنَةٌ وَّلَا نَوۡمٌؕ لَّهٗ مَا فِىۡ
السَّمٰوٰتِ وَمَا فِىۡ الۡاَرۡضِؕ مَنۡ ذَا الَّذِىۡ يَشۡفَعُ عِنۡدَهٗۤ
اِلَّا بِاِذۡنِهٖؕ يَعۡلَمُ مَا بَيۡنَ اَيۡدِيۡهِمۡ وَمَا خَلۡفَهُمۡۚ
وَلَا يُحِيۡطُوۡنَ بِشَىۡءٍ مِّنۡ عِلۡمِهٖۤ اِلَّا بِمَا شَآءَۚ
وَسِعَ كُرۡسِيُّهُ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضَۚ وَلَا يَـُٔوۡدُهٗ
حِفۡظُهُمَاۚ وَهُوَ الۡعَلِىُّ الۡعَظِيۡمُ
আল্লাহ এমন এক
চিরঞ্জীব ও চিরন্তন সত্তা যিনি সমগ্র বিশ্ব-জাহানের দায়িত্বভার বহন করছেন,
তিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। তিনি ঘুমান না এবং তন্দ্রাও তাঁকে স্পর্শ করে
না। পৃথিবী ও আকাশে যা কিছু আছে সবই তাঁর। কে আছে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর
কাছে সুপারিশ করবে? যা কিছু মানুষের সামনে আছে তা তিনি জানেন এবং যা কিছু
তাদের অগোচরে আছে সে সম্পর্কেও তিনি অবগত। তিনি নিজে যে জিনিসের জ্ঞান
মানুষকে দিতে চান সেটুকু ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কিছুই তারা আয়ত্ব করতে পারে না।
তাঁর কর্তৃত্ব আকাশ ও পৃথিবী ব্যাপী। এগুলোর রক্ষণাবেক্ষন তাঁকে ক্লান্ত
পরিশ্রান্ত করে না। মূলত তিনিই এক মহান ও শ্রেষ্ঠ সত্তা। {আল বাকারাহঃ ২৫৫
}
৪)
قُلۡ اَىُّ شَىۡءٍ اَكۡبَرُ شَهَادَةًؕ
قُلِ اللّٰهُؕ شَهِيۡدٌۢ بَيۡنِىۡ وَبَيۡنَكُمۡ وَاُوۡحِىَ اِلَىَّ
هٰذَا الۡقُرۡاٰنُ لِاُنۡذِرَكُمۡ بِهٖ وَمَنۡۢ بَلَغَؕ اَٮِٕنَّكُمۡ
لَتَشۡهَدُوۡنَ اَنَّ مَعَ اللّٰهِ اٰلِهَةً اُخۡرٰىؕ قُل لَّاۤ
اَشۡهَدُۚ قُلۡ اِنَّمَا هُوَ اِلٰهٌ وَّاحِدٌ وَّاِنَّنِىۡ بَرِىۡٓءٌ
مِّمَّا تُشۡرِكُوۡنَ
এদেরকে জিজ্ঞেস করো, কার সাক্ষ্য সবচেয়ে
বড়? –বলো, আল্লাহ আমার ও তোমাদের মধ্যে সাক্ষী। আর এ কুরআন আমার কাছে
পাঠানো হয়েছে অহীর মাধ্যমে, যাতে তোমাদের এবং আর যার যার কাছে এটি পৌঁছে
যায় তাদের সবাইকে আমি সতর্ক করি। সত্যিই কি তোমরা এমন সাক্ষ্য দিতে সক্ষম
যে, আল্লাহর সাথে আরো ইলাহ আছে? বলে দাও, আমি তো কখনোই এমন সাক্ষ্য দিতে
পারি না। বলো, আল্লাহ তো একজনই এবং তোমরা যে শিরকে লিপ্ত রয়েছো আমি তা
থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। {আল আন'আমঃ ১৯ }
৫)
قُلۡ اِنِّىۡ عَلٰى بَيِّنَةٍ مِّنۡ
رَّبِّىۡ وَكَذَّبۡتُمۡ بِهٖؕ مَا عِنۡدِىۡ مَا تَسۡتَعۡجِلُوۡنَ بِهٖؕ
اِنِ الۡحُكۡمُ اِلَّا لِلّٰهِؕ يَقُصُّ الۡحَقَّۚ وَهُوَ خَيۡرُ
الۡفٰصِلِيۡنَ
বলো, আমার রবের পক্ষ থেকে আমি একটি উজ্জ্বল
প্রমাণের ওপর প্রতিষ্ঠিত আছি এবং তোমরা তাকে মিথ্যা বলেছো। এখন তোমরা যে
জিনিসটি তাড়াতাড়ি চাচ্ছো সেটি আমার ক্ষমতার আওতাধীন নয়। ফায়সালার সমস্ত
ক্ষমতা আল্লাহর হাতে। তিনিই সত্য বিবৃত করেন এবং তিনিই সবচেয়ে ভাল
ফায়সালাকারী। {আল আন'আমঃ ৫৭ }
৬)
لَقَدۡ اَرۡسَلۡنَا نُوۡحًا اِلٰى قَوۡمِهٖ
فَقَالَ يٰقَوۡمِ اعۡبُدُوۡا اللّٰهَ مَا لَكُمۡ مِّنۡ اِلٰهٍ غَيۡرُهٗؕ
اِنِّىۡۤ اَخَافُ عَلَيۡكُمۡ عَذَابَ يَوۡمٍ عَظِيۡمٍ
নুহকে আমি
তার সম্প্রদায়ের কাছে পাঠাই। সে বলেঃ “হে আমার স্বগোত্রীয় ভাইয়েরা!
আল্লাহর ইবাদত করো, তিনি ছাড়া তোমাদের আর কোন ইলাহ নেই। আমি তোমাদের
জন্য একটি ভয়াবহ দিনের আযাবের আশঙ্কা করছি।” {আল আরাফঃ ৫৯ }
৭)
وَهُوَ اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ لَهُ الْحَمْدُ فِي الْأُولَى وَالْآخِرَةِ وَلَهُ الْحُكْمُ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ
তিনিই
এক আল্লাহ যিনি ছাড়া ইবাদাতের আর কোন হকদার নেই। তাঁরই জন্য প্রশংসা
দুনিয়ায়ও, আখেরাতেও। শাসন কর্তৃত্ব তাঁরই এবং তাঁরই দিকে তোমরা ফিরে যাবে।
{আল কাসাসঃ ৭০ }
৮)
وَهُوَ الَّذِىۡ فِىۡ السَّمَآءِ اِلٰهٌ وَّفِىۡ الۡاَرۡضِ اِلٰهٌ ؕ وَهُوَ الۡحَكِيۡمُ الۡعَلِيۡمُ
৯)
فَاعۡلَمۡ اَنَّهٗ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا
اللّٰهُ وَاسۡتَغۡفِرۡ لِذَنۡۢبِكَ وَلِلۡمُؤۡمِنِيۡنَ وَالۡمُؤۡمِنٰتِ ؕ
وَاللّٰهُ يَعۡلَمُ مُتَقَلَّبَكُمۡ وَمَثۡوٰٮكُمۡ
অতএব, হে নবী!
ভাল করে জেনে নাও, আল্লাহ ছাড়া আর কেউ ইবাদাতের যোগ্য নয়। নিজের ত্রুটির
জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করো এবং মু’মিন নারী ও পুরুষদের জন্যও। আল্লাহ
তোমাদের তৎপরতা সম্পর্কে অবহিত এবং তোমাদের ঠিকানা সম্পর্কেও অবহিত।
{মুহাম্মদঃ ১৯ }
১০)
هُوَ الۡحَىُّ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ فَادۡعُوۡهُ مُخۡلِصِيۡنَ لَهُ الدِّيۡنَؕ الۡحَمۡدُ لِلّٰهِ رَبِّ الۡعٰلَمِيۡنَ
তিনি চিরঞ্জীব। তিনি ছাড়া কোন উপাস্য নেই। তোমাদের দ্বীন তাঁর জন্য
নিবেদিত করে তাঁকেই ডাকো। গোটা সৃষ্টি জগতের রব আল্লাহর জন্যই সব প্রশংসা।
{আল মুমিনঃ ৬৫ }
১১)
فَتَعٰلَى اللّٰهُ الۡمَلِكُ الۡحَقُّۚ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَۚ رَبُّ الۡعَرۡشِ الۡكَرِيۡمِ
কাজেই
প্রকৃত বাদশাহ আল্লাহ হচ্ছেন উচ্চতর ও উন্নততর, তিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ
নেই, সম্মানিত আরশের তিনিই মালিক {আল মুমিনূনঃ ১১৬ }
১২)
قُلۡ مَنۡ رَّبُّ السَّمٰوٰتِ
وَالۡاَرۡضِؕ قُلِ اللّٰهُؕ قُلۡ اَفَاتَّخَذۡتُمۡ مِّنۡ دُوۡنِهٖۤ
اَوۡلِيَآءَ لَا يَمۡلِكُوۡنَ لِاَنۡفُسِهِمۡ نَفۡعًا وَّلَا ضَرًّاؕ
قُلۡ هَلۡ يَسۡتَوِىۡ الۡاَعۡمٰى وَالۡبَصِيۡرُ ۙ اَمۡ هَلۡ تَسۡتَوِىۡ
الظُّلُمٰتُ وَالنُّوۡرُ ۚؕاَمۡ جَعَلُوۡا لِلّٰهِ شُرَكَآءَ خَلَقُوۡا
كَخَلۡقِهٖ فَتَشَابَهَ الۡخَلۡقُ عَلَيۡهِمۡؕ قُلِ اللّٰهُ خَالِقُ
كُلِّ شَىۡءٍ وَّهُوَ الۡوَاحِدُ الۡقَهَّارُ
এদেরকে জিজ্ঞেস
করো, আকাশ ও পৃথিবীর রব কে?- বলো আল্লাহ! তারপর এদেরকে জিজ্ঞেস করো, আসল
ব্যাপার যখন এই তখন তোমরা কি তাঁকে বাদ দিয়ে এমন মাবুদদেরকে নিজেদের
কার্যসম্পাদনকারী বানিয়ে নিয়েছো যারা তাদের নিজেদের জন্যও কোন লাভ ও ক্ষতি
করার ক্ষমতা রাখে না? বলো অন্ধ ও চক্ষুষ্মান কি সমান হয়ে থাকে? আলো ও আঁধার
কি এক রকম হয়? যদি এমন না হয়, তাহলে তাদের বানানো শরীকরাও কি আল্লাহর মতো
কিছু সৃষ্টি করেছে, যে কারণে তারাও সৃষ্টি ক্ষমতার অধিকারী বলে সন্দেহ
হয়েছে? - বলো, প্রত্যেকটি জিনিসের স্রষ্টা একমাত্র আল্লাহ। তিনি একক ও
সবার ওপর পরাক্রমশালী। {আর্ রাদঃ ১৬ }
১৩)
رَبُّ الۡمَشۡرِقِ وَالۡمَغۡرِبِ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ فَاتَّخِذۡهُ وَكِيۡلاً
তিনি পূর্ব ও পশ্চিমের মালিক। তিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। তাই তাঁকেই নিজের উকীল হিসেবে গ্রহণ করো। {আল মুযযাম্মিলঃ ৯ }
১৪)
وَفِىۡ الۡاَرۡضِ اٰيٰتٌ لِّلۡمُوۡقِنِيۡنَۙ وَفِىۡ الۡاَرۡضِ اٰيٰتٌ لِّلۡمُوۡقِنِيۡنَۙ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন