শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৭

ইসলামে বিভিন্ন মাযহাব, লা-মাজহাবী, বিভিন্ন ত্বরিকা, বিভিন্ন দল, বিভিন্ন পথ ও মতপন্থীদের প্রতি আল্লাহ তা’আলার কঠোর হুশিয়ারি !

ইসলামে বিভিন্ন মাযহাব, লা-মাজহাবী, বিভিন্ন ত্বরিকা, বিভিন্ন দল, বিভিন্ন পথ ও মতপন্থীদের প্রতি আল্লাহ তা’আলার কঠোর হুশিয়ারি

ইসলাম এক ও অখন্ড দ্বীন। আমরা যারা এ দ্বীনকে খন্ড খন্ড করার তালে আছি তাদের প্রতি আল্লাহর নিন্মোক্ত হুসিয়ারীঃ
০১) “যারা নিজেদের দ্বীনকে খন্ড খন্ড করে বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের সাথে আপনার (হে রাসূল) কোন সম্পর্ক নেই।” (সূরা আনআম-৬, আঃ-১৫৯)
০২) “হে ঈমানদারগণ ! আল্লাহর আনুগত্য কর, রাসূলের আনুগত্য কর এবং তোমাদের মধ্যে যারা হুকুম দানের অধিকারী তাদেরকেও মেনে চল। যখন তোমাদের মধ্যে মতের মিল না হয় তাহলে ফিরে আস আল্লাহ ও রাসূলের দিকে; যদি তোমরা আল্লহ ও আখেরাতের দিনের উপর ঈমান এনে থাক।” (সূরা নিসা-৪, আঃ ৫৯)

০৩) “তাদের সাথে লড়াই কর, যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে না, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যে গুলোকে হারাম করেছেন সেগুলোকে হারাম মনে করে না এবং সত্য দ্বীনকে দ্বীন হিসাবে গ্রহন করে না।” (সূরা তওবা-৯, আঃ ২৯)
০৪) “তাঁর (আল্লাহর) দিকে রুজু হও, আল্লাহকে ভয় কর, সালাত ক্বায়েম কর, আর সেই মুশরিকদের মধ্যে সামিল হয়ো না, যারা নিজেদের দ্বীনকে খন্ড খন্ড করে বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে এবং প্রত্যেক দলই নিজেরটা নিয়েই সন্তুষ্ট।” (সুরা রুম-৩০, আঃ ৩১, ৩২)
০৫) “হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রাসুলের অনুসরণ কর, আর তোমাদের আমলগুলি ধ্বংস করো না।” (সূরা মুহাম্মদ-৪৭, আঃ ৩৩)
০৬) “তোমরা তাদের মত হয়ো না, যারা তাদের নিকট স্পষ্ট নিদর্শন আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে এবং নিজেদের মধ্যে মতান্তর সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য রয়েছে মহা শাস্তি।” (সূরা আল-ইমরান, আঃ ৩ঃ১০৫)
০৭) “আল্লাহকে ভয় কর, তোমরা তোমাদের পরস্পরে সংশোধন করে নাও, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অনুসরণ কর যদি তোমরা মু’মিন হও।” (সূরা আনফাল-৮, আঃ ১)
০৮) “রাসূল তোমাদেরকে যা প্রদান করেন তা গ্রহণ কর, যা প্রদান করেন নি তা থেকে বিরত থাক।” (সূরা হাশর-৫৯, আঃ ৭)
০৯) “তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে তোমাদের প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে তার আনুগত্য কর। তাঁকে ছাড়া আর কোন অলিদের আনুগত্য করো না। তোমরা কম লোকই উপদেশ গ্রহণ কর।” (সুরা আ’রাফ-৭, আঃ ৩)
১০) “তোমরা সকলে একত্রিত হয়ে আল্লাহর রজ্জুকে আকড়িয়ে ধর, সাবধান! বিচ্ছিন্ন হয়ো না।” (সূরা আল ইমরান-৩, আঃ ১০৩)
হাদীসঃ
০১) রাসূল (সঃ) বলেছেন, “ওহে, অবশ্যই যারা তোমাদের পূর্বে ছিল তারা ৭২ দলে বিভক্ত ছিল এবং অবশ্য্ই আমার এই উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। ইহাদের সকল দলই দোযখে যাবে এক দল ব্যতিত। সাহাবা (রাঃ) জিজ্ঞেসা করলেন, “ইয়া রাসূলুল্লাহ, সেটি কোন দল? নবী (সঃ) বললেন, ” আমি এবং আমার সাহাবীগণ যার উপর আছি, তার উপর যারা থাকবে।”
(তিরমিজী ও আবু দাউদ, রেওয়ায়েতে মেশকাত শরীফ ১ম খন্ড, হাদীস নং- ১৬৩)
০২) “আমি তোমাদের নিকট দু’টা জিনিষ রেখে যাচ্ছি। যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা সে জিনিষ দু’টি আঁকড়িয়ে ধরে থাকবে, তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না। এ দু’টা জিনিষ হ’ল আল্লাহর কিতাব ও তাঁর রাসূলের সুন্নাহ।” (মেশকাত শরীফ, ১ম খন্ড, হাদীস নং- ১৭৭)
উপরোক্ত আল্লাহর বানী এবং সহীহ হাদীস দ্বারা জানতে পারলাম যে, [আমাদের একত্রিত থাকা উচতি, বিভিন্ন দলে দলে ভাগ হওয়া উচিত নয়, এটা ইসলামে একেবারেই হারাম।
তাই মাযহাব-লা-মাজহাবী বা বিভিন্ন দলের পক্ষে যে সকল বই-ই রচনা করা হোক না কেন তাহা নিষিদ্ধ। কারন হারাম কাজে উদ্ভুদ করা, তাহা পড়ে অনুসরন করা, অন্যকে পড়ার বুদ্ধি দেওয়া সবই এর আওতাভুক্ত। যেমন সুদ খাওয়া, দেওয়া, সুদের হিসাব রাখা সবই হারাম।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন